বাদশাহী রোডই কী চোরাকারবারের গ্রীন করিডোর?
সৌমেন দাস; বীরভূম: বারবার নানুর এলাকা থেকে অস্ত্র উদ্ধার, কোথাও কি নানুর সংলগ্ন বাদশাহি রোড গ্রীন করিডোরে পরিণত হচ্ছে অস্ত্র কারবারীদের জন্য? ভাবাচ্ছে জেলা বাসীকে।
সম্প্রতি নানুরের বেনেরা গ্রাম থেকে অস্ত্র সহ জেরাই শেখ নামে এক অস্ত্র কারবারিকে গ্রেফতার করেছিল নানুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল দুটি দেশীয় পিস্তলের সঙ্গে একটি অত্যাধুনিক 7.65 এমএম পিস্তল ও নয় রাউন্ড কার্তুজ। যদিও নানুর থানার পুলিশ জানাই, এই নতুন নয়, এর আগেও জেরাই শেখকে অস্ত্র বিক্রি করতে গিয়ে গ্রেফতার করেছে তারা। চলছে সেই মামলাও। তবে এখন কী কারণে সে অস্ত্র মজুত করেছিল সে বিষয়ে জানতে মরিয়া পুলিশ, চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। কিন্তু সেসব পুলিশি বিষয়। সাধারন মানুষের মনে তো চিন্তা বাড়াচ্ছে অন্য প্রশ্ন। বারবার নানুর এলাকায় অস্ত্র উদ্ধার, এবার আবার অত্যাধুনিক অস্ত্র, তাহলে কি নানুর এলাকা তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে চোরাকারবারীদের জন্য সেফ প্যাসেজে পরিণত হচ্ছে? নানুর সংলগ্ন বাদশাহী রোড, সেটা কি কোথাও গিয়ে চোরা কারবারীদের জন্য গ্রীন করিডোরে পরিণত হচ্ছে? কোন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে জেলা?
গত শনিবার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে নানুরের বেনেরা গ্রামে। সেখান থেকে রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বাদশাহী রোড কিলোমিটার দশেকের মধ্যে, এবং এই বাদশাহী রোডের উপরেই বীরভূম জেলার সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করেছে বর্ধমান মুর্শিদাবাদ জেলা। ফলে এই নানুর ও তৎসলগ্ন এলাকা যে চোরাকারবারীদের জন্য সুবিধাজনক জায়গা তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এখানেই বাড়ছে চিন্তা। সামনেই রাজ্যের ত্রিস্তরীয় নির্বাচন। আর গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বলছে, বীরভূমের নির্বাচন মানেই দেদার সন্ত্রাস, বোমা বারুদের রমরমা। ফলে এই সময়ে দাঁড়িয়ে জেলার বুকে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার, কিছুটা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পুলিশ প্রশাসনের কপালেও। যদিও পুলিস সূত্রে দাবি, জেরাই শেখকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, কেন সে এই অস্ত্র মজুত করেছিল? কোথায় সে এই অস্ত্র পেল, সেগুলি নিয়ে তার কী ভাবনা চিন্তা ছিল এই বিষয় গুলিই খতিয়ে দেখতে চাইছে পুলিশ।
Comments
Post a Comment